Sunday, June 29, 2014

রমজান এবং বিদেশী গান :


আমাদের দেশের আস্তিকগুলো রমজান মাস এলে খুব ধার্মিক হয়ে যায় l তারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে রোজা করে কোরান তেলাওয়াত করে আরো কত কি ! এক কথায় পাক্কা মমিন l
যদি কেউ রমজান মাসে হিন্দি বা ইংলিশ গান শুনে তবে তারা বলে - দেখেছো কেমন খারাপ ! বিদেশী গান শুনে ! আল্লাহ খোদার নাম না নিয়ে বিদেশী গান শুনে l
আমি বলি - ভাই হিন্দি বা ইংলিশ গান শুনলে সমস্যা কিন্তু আরবি গান গাইলে বা শুনলে সমস্যা নেই তাইনা ? আরবি গানতো বিদেশী গান, তাহলে আপনারা সুর দিয়ে আরবি কোরানের গান কেন গান ?

তুমি বেহেস্তে গেলে এবং আমি দোজকে গেলে কিন্তু আমাদের আলাদা থাকতে হবে :



আমার গার্ল ফ্রেন্ড সব সময় নামাজ রোজা করতে বলে l কিন্তু আমিতো পুরোপুরি নাস্তিক l তাই আমি তাকে বলি এসব আমাকে দিয়ে হবে না l সে বলে একটু চেষ্টা করে দেখো l এভাবে চলতে থাকলে তো জাহান্নামে যাবে l আমি তাকে বলি আমি জাহান্নামেই যেতে চাই l তবু এগুলো করতে পারবো না l সে এটা নিয়ে রাগারাগি করে সবসময় l আমি তাকে কখনো নাস্তিক হতে বলি না l আমি জানি সে দুর্বল মনের মানুষ l আমি হাজার যুক্তি প্রমান দিয়ে বোঝালেও সে বুঝতে চায়না l শেষে যুক্তিতে না পেরে বলে তুমি নাস্তিক আছ ভালো কথা কিন্তু এসব আমাকে বলতে আসবে না l
আমিও আর জোর করি না l থাকনা অন্ধ-বিশ্বাস নিয়ে l সেতো আর কারো কোন ক্ষতি করছে না l কিংবা মোল্লাদের মত কারো উপর জোর করে ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না l সে শুধু নিজের বিশ্বাসকে পালন করে যাচ্ছে l তাতে সমাজেরতো কোন ক্ষতি হচ্ছে না l হোক না সেটা মিথ্যে বিশ্বাস কিন্তু তাতে তো সমাজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না l  সে শুধু নিজের ধর্ম বিশ্বাসকে পালন করছে l
আমি জানি সে দুর্বল মনের অধিকারী l  তাই কখনো এসব ব্যাপারে কিছু বলি না l
কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি সবে বরাতের রাতে অথবা সবে কদরের রাতে সারা রাত জেগে থেকে নামাজ পরে l ভিশন কষ্ট হয় তখন l আবার যখন রমজান মাস চলে আসে তখন প্রত্যেকটা রোজা করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেয় l এসব দেখেও খুব কষ্ট হয় l কেন এমন একটা অদ্ভুত ধর্ম মুহাম্মদ তৈরী করলো সেজন্যে খুব রাগ হয় ওই ভন্ড লোকটির উপরে l এরকম অদ্ভুত নিয়ম করার কি কোন অর্থ আছে ? পাচ ওয়াক্ত নামাজ তার উপর আবার সারাদিন না খেয়ে থাকা l আর শরীরের বারোটা বাজানো l এ ছাড়া কি ওই লোকটির কোন কাজ ছিল না ? নিজেই নিয়ম তৈরী করবি তবে সহজ কোন নিয়ম তৈরী কর l কেউ না জানুক মুহাম্মদ তো জানতো ধর্মের জারিজুরি সব ভুয়া l তবুও সেটা না করে কঠিন কিছু নিয়ম তৈরী করে গেছে l আর অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিক গুলো বেহেস্তের লোভে এই নামাজ রোজার মত অযৌক্তিক কাজ গুলো করে চলে l

প্রতিবার যখন রমজান মাস আসে আর আমি বলি এত রোজা করে কি করবে কয়েকটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l আল্লাহতো দয়ালু তাই দু-একটা রোজা বাদ দিলে কিছু হবে না l কিন্তু সে কখনো রোজা বাদ দেয় না l অনেক বুঝিয়েও কোন কাজ হয়না l আস্তিকরা অন্ধ-বিশ্বাসী হয় তাই তারা যুক্তি তর্ক বুঝে না, অন্ধ ভাবে পালন করে চলে l
সে আমাকে নামাজ পড়তে বললেও কখনো আমাকে রোজা করতে জোর করে না l সারাদিন না খেয়ে থাকলে আমার কষ্ট হবে আর তাই রোজা করার জন্য কখনো জোরা জোরি করে না l বলে - তুমিতো নাস্তিক, নামাজই পড় না আবার রোজা করার দরকার কি !
কিন্তু নিজে কখনও রোজা বাদ দেয় না l আমি অনেক ভাবে বুঝিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি l
সেবার রোজাতে আমি তাকে বললাম - তুমিতো কিছুটা অসুস্থ, আগে ভালো হও তারপর রোজা কর l 
সে বলল- না আমি রোজা বাদ দিব না l
আমি তখন বললাম - এত রোজা করে কি করবে বেহেস্তে যাবে ?
সে বলল - না যাতে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচতে পারি তাই রোজা করবো l
আমি তাকে বললাম - জান্নাত এবং জাহান্নাম বলে কিছু নেই এটি মানুষের কল্পনা l আর তাই যতই রোজা করনা কেন বেহেস্তে বা দোজকে যাবে না কখনো l মরার পর সব শেষ l
তখন সে বলে - হোক শেষ তবু আমি রোজা করবো l যদি থাকে !
আমি বলি - কখনই থাকবে না l এই বেহেস্ত দোজক এগুলো মানুষের কল্পনা বাস্তব জগতে এগুলোর অস্তিত্ব নেই l
সে বলে - না থাকে তবুও আমি রোজা করবোই l বাদ দেবো না l
আমি শেষে বললাম - আচ্ছা তুমি যে রোজা করছো, নামাজ পড়ছো l কিন্তু আমিতো নামাজ রোজা করছি না l তাহলে তুমি বেহেস্তে যাবে কিন্তু আমি দোজকে যাব l তাহলে তো আমরা দুজন আলাদা আলাদা থাকবো l এক কাজ করি চল, তুমি আমি দুজনেই দোজকে যাই তাহলে এক সাথে থাকতে পারবো l তা না হলে কিন্তু পরকালে আলাদা আলাদা থাকতে হবে l তাই রোজা করো না l নামাজ পড়লে পড়তে পারো l

বলাই বাহুল্য সে কিন্তু রোজা বাদ দেয়নি l কষ্ট করেই রোজা করেছিল l
অন্ধ-বিশ্বাসী আস্তিকদের কে মানুষ বানানো খুব কঠিন l

আল্লাহ কি বিজ্ঞ নাকি অজ্ঞ ?

 
আল্লাহ কোরান-এ বলেছে ,
"নিশ্চই কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা জরায়ুতে আছে l কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে l আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে অবহিত l"  (সুরা লোকমান আয়াত - ৩৪ ) (অনুবাদ প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান )

আল্লাহ জানে মায়ের জরায়ুতে কি আছে l এটা নিয়ে বাহাদুরি করার কি আছে l আজকাল ডাক্তাররাও জানে জরায়ুতে কি আছে l
মানুষ আগামীকাল কি উপার্জন করবে সেটা বর্তমানের মানুষ খুব ভালো ভাবেই জানে l
তাহলে আল্লাহ কেন বলল কেউ জানে না সে আগামীকাল কি উপার্জন করবে l এটাকি প্রাচীন কাল যে মানুষ জানবে না সে কি উপার্জন করবে l বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গুলোতো আগামী পাচ বছরে কি পরিমান উপার্জন করবে সেটা অগ্রিম জেনে ফেলে l
আর আল্লাহ বলছে মানুষ নাকি জানেই না আগামীকাল কি উপার্জন করবে l
আর মানুষ জানে না কোথায় সে মৃত্যু বরণ করবে l অধিকাংশ মারাত্মক রোগী হাসপাতালেই মারা যায় l সেটা সবাই জানে l
আল্লাহ অগ্রিম জানে কিন্তু এসব কথা কেন জানে না ? যদি নাই জানে তবে বলে কেন একমাত্র সেই সবকিছু জানে ? বললেইতো হয় আল্লাহ যা বলে অনুমান করে বলে !

আকাশে ফাটল এবং আল্লাহ :


আল্লাহ তালা সুরা ক্বাফ-এর ৬ নাম্বার আয়াতে বলেছেন
"এরাকি কখনও তাদের ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না কিভাবে আমি তা তৈরী করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি ? আর তাতে কোন (সুক্ষতম) ফাটলও নেই l " (অনুবাদ প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান )

আল্লাহর কথা শুনে মনে হয় তিনি আকাশ কি সেটা জানে না l আকাশে কিভাবে ফাটল থাকবে ?
আকাশ কি ঘরের ছাদ যে ফাটল থাকবে ! আজব কথা !

বিজ্ঞান বলে আকাশ গঠিত হয়েছে গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে l আর তাই মহাকাশ থেকে যেকোন কিছু বায়ুমন্ডল (অর্থাত আকাশ) ভেদ করে পৃথিবীতে চলে আসে l
তাহলে সেই গ্যাসীয় পদার্থের আকাশে কিভাবে ফাটল অথবা ছিদ্র থাকবে ?
আল্লাহর কথা বার্তাই আজব !

Saturday, June 28, 2014

মুসলিমদের আল্লাহর এ কেমন নকলের প্রবণতা ?



বিশ্বজগত তৈরী সম্পর্কে বাইবেল-এ বলা হলো বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী করা হয়েছে l অর্থাত গড (God) বলছেন বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে l তাই দেখে আল্লাহ বলে ফেললো বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে l
কিন্তু বিজ্ঞান বলে বিশ্বজগত লক্ষ কোটি বছরে তৈরী হয়েছে l
তাহলে আল্লাহ কেন সরাসরি গড-এর কথা নকল করে বলে ফেললো বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী করা হয়েছে l কেমন নকলবাজ আল্লাহ দেখেছেন ! বেটা জানেই না বিশ্বজগত আসলে কত সময়ে তৈরী হয়েছে l গড একটা কথা বলেছে কাল্পনিক এবং মিথ্যা কথা আর অমনি আল্লাহ তাই দেখে বলে দিল বিশ্বজগত ছয়দিনে তৈরী হয়েছে l বেটা আগে সত্যিটা জেনে নি তারপর বল l  সেটা না করে গড যা বলেছে না জেনে সেটাই বলে দিল বোকা আল্লাহ l

আবার আল্লাহকে বাচাতে মুসলমানগুলো উঠে পড়ে লেগে গেল l আল্লাহকে বাচাতে তারা কি কথা বলে উঠলো- আল্লাহ আসলে ছয় দিন বলেনি ছয়টি লম্বা সময়ের কথা বলেছে l কোরানে ইয়াম বলা হয়েছে যার অর্থ দিন অথবা লম্বা সময় l অর্থাত দিনও আবার লম্বা সময়ও l

আল্লাহ যদি ছয় দিন না বলে ছয়টি লম্বা সময়ই বলে থাকে তাহলে সে আবার ছয়টি লম্বা সময় বলতে গেল কেন বাইবেলকে অনুকরণ করে ? সরাসরি একটা লম্বা সময় বলে দিলেই তো হত l বিশ্বজগত একটা লম্বা সময়ে তৈরী হয়েছে আর সেই লম্বা সময়টা হচ্ছে সাড়ে চারশ কোটি বছর অথবা লক্ষ কোটি বছর l
বিশ্বজগত তৈরীর মোট সময়কে ছয়টি লম্বা সময় না বলে একটি লম্বা সময় বলাইতো অনেক যুক্তি যুক্ত হত l  তাহলে মানুষ বুঝে যেত এখানে ছয় দিন নয় বরং একটি লম্বা সময়কে বোঝানো হয়েছে l
কোরানে ছয় দিনের কথাই বলা হয়েছে ছয়টি লম্বা সময় নয় l আর এখানে ছয় দিন বা ছয়টি লম্বা সময় বলে প্রমান দিয়েছে, আল্লাহ আসলে একটা নকলবাজ মানুষ অথবা প্রাণী l
ছয়টি দিন বলা যে বাইবেলকে নকল করা সেটা খুব সহজেই আল্লাহ প্রমান দিয়েছেন l
আল্লাহ একটা নকলবাজ l

Friday, June 27, 2014

মুসলমানদের আল্লাহ কি মানুষের কাছে পরাজিত হলো ?


মুসলমানদের আল্লাহ কি মানুষের কাছে পরাজিত হলো ?

আল্লাহ কোরান-এ বলেছেন
      "হে জ্বীন ও মানবকুল; নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায় তবে অতিক্রম কর l কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতিত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না l" ( সুরা আর রহমান; আয়াত ৩৩)

এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন মানুষ কখনো পৃথিবী অথবা আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করতে পারবে না l অথবা পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে না l একমাত্র আল্লাহর অনুমতিতেই মানুষের আকাশ এবং পৃথিবীর স্বীমানা অতিক্রম করা সম্ভব l আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মানুষ কখনো আকাশ বা পৃথিবীর স্বীমানা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না অথবা এদের স্বীমানা অতিক্রম করতে পারবে না l
আল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ করেছে মানুষকে l কিন্তু মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে এবং আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে গিয়েছে l মহাকাশে মহাকাশ স্টেশন তৈরী করেছে l চাদে গিয়েছে l ( এবং কয়েক বছর পরে মঙ্গল গ্রহেও যাবে l )
কিন্তু মানুষের আল্লাহর কাছে অনুমতি নেবার প্রয়োজন পড়েনি l মানুষ নিজের ইচ্ছেতে এবং সম্পূর্ণ আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করেছে l

তাহলে আল্লাহ চ্যালেঞ্জে হেরে গেল না কি ? আল্লাহ চ্যালেঞ্জ দিল মানুষ পারবে না কিন্তু মানুষ আল্লাহর চ্যালেঞ্জকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করলো l
আর এর মধ্যে দিয়ে আল্লাহ মানুষের কাছে পরাজিত হলো l

আল্লাহ কি জানত না মানুষ একদিন পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা অতিক্রম করবে ?
যদি জানত তাহলে কি এমন একটা চ্যালেঞ্জ দিত যেটা মানুষ কয়েকশ বছর পরেই সফল হবে !
মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে আসলে আল্লাহর কোন ধারনায় নেই l আল্লাহ আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের ধ্যান ধারণা নিয়েই বসে আছে l
মানুষ আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশের অন্য প্রান্ত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে আর সেখানে আল্লাহ প্রাচীন কালের মানুষের মিথ্যে ধারণা নিয়ে বসে আছে যে মানুষ কখনো পৃথিবী এবং আকাশের স্বীমানা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না l
সত্যি বড় অদ্ভুত আল্লাহ !

আল্লাহর অন্ধকার সম্পর্কে অজ্ঞতা :


০৬) সুরা আল আন-আম ; আয়াত ০১ :
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্টি করেছেন আলো ও অন্ধকার; এটা সত্বেও যারা কুফুরি করেছে তারা তাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ নিরুপন করলো / " ( অনুবাদ - প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান )

এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আলো ও অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন / তবুও কাফের অর্থাত অবিশ্বাসীরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে সমকক্ষ নির্ধারণ করে /
অর্থাত আল্লাহ আকাশসমূহ এবং পৃথিবী তৈরী করেছেন / এবং অন্ধকার ও আলোও তৈরী করেছেন / কিন্তু তারপরেও মানুষ তার সাথে অন্য কাউকে তার সমকক্ষ স্থির করে /
লক্ষ করুন বলা হচ্ছে যে আল্লাহ আলো সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকারও সৃষ্টি করেছেন /

এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আলো তৈরী করেছেন এবং অন্ধকার তৈরী করেছেন / কিন্তু অন্ধকারকে তৈরী করা যায়না / কারণ অন্ধকারের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই / অন্ধকার হলো আলোর অনুপস্থিতি / অর্থাত যেখানে কোন আলো নেই এবং কোনো কিছুই নেই সেটাই হচ্ছে অন্ধকার / অর্থাত যেখানে কোন প্রকার আলো নেই; তার মানে আলোর অনুপস্থিতিই হচ্ছে অন্ধকার / যেখানে আলো থাকবে না এবং কিছুই থাকবে না সেখানেই অন্ধকার হবে / কিছু (কোন আলো) না থাকাই হচ্ছে অন্ধকার / অন্ধকারের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই আর তাই অন্ধকার কে সৃষ্টি করা যায় না ! আলো একটা শক্তি অর্থাত আলোর অস্তিত্ব আছে / কিন্তু যেখানে আলো নেই, কোন প্রকার আলো নেই, কিছুই নেই সেটাই হচ্ছে অন্ধকার / যেখানে কোন কিছুই (আলো) সৃষ্টি করা হয়নি সেটাই হচ্ছে অন্ধকার / তাই অন্ধকারকে সৃষ্টি করা যায় না / কিন্তু আল্লাহ বলছেন যে তিনি অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন সেটা বৈজ্ঞানিক ভাবে ঠিক নয় / অর্থাত এটা একটা ভুল কথা / সত্যি হচ্ছে অন্ধকারের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই আর তাই অন্ধকারকে সৃষ্টি করা সম্ভব নয় / কিন্তু আল্লাহ বলছেন অন্ধকারকে তিনি সৃষ্টি করেছেন / যেটা একটা ভুল কথা /

আর আল্লাহ এই ব্যাপারটা জানতই না যে অন্ধকার বলতে প্রকৃত পক্ষে কিছু নেই ; (আলো) নেই সেটাই যে অন্ধকার সেটাই সে জানে না ! আর তাই আল্লাহ মনে করেছে আলো যেমন তৈরী করা যায় অন্ধকার কেও তেমনি তৈরী করা যায় ! প্রকৃত পক্ষে অন্ধকারের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই / আলোর অনুপস্থিতিই হচ্ছে অন্ধকার !

আল্লাহ কত বোকা আর মুর্খ, এই সহজ ব্যাপারটাই সে জানে না !!!!!!

কোরানের আকাশ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভুল


৬৭) সুরা আল মূলক : আয়াত - ০৩ :
"যিনি সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন সুবিন্যস্তভাবে l তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না l তারপর তুমি দৃষ্টি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নাও, তুমি কি কোন ফাটল দেখতে পাচ্ছ ?" (অনুবাদ - ড : জহুরুল হক )

এই আয়াত অনুযায়ী, আল্লাহ সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে অথবা সুবিন্যস্তভাবে / মানুষ বা মুহাম্মদ আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন খুত বা ত্রুটি অথবা অসামঞ্জস্যতা দেখতে পাবে না / যদি মানুষ অথবা মুহাম্মদ দৃষ্টি ফিরিয়ে ভালো করে দেখে তবুও আকাশের কোন ফাটল বা ত্রুটি দেখতে পাবে না /

অর্থাত আল্লাহ আকাশ সুবিন্যস্তভাবে ও স্তরে স্তরে সাত আকাশ তৈরী করেছেন / আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন ত্রুটি নেই বা অসামঞ্জস্যতা নেই / অনেক ভালো করে তাকিয়ে দেখলেও তাতে কোন ত্রুটি বা ফাটল দেখতে পাওয়া যাবে না /

তাহলে এই আয়াত অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে, আকাশের সংখ্যা সাতটা এবং এই আকাশ তৈরিতে কোন ত্রুটি বা ফাটল নেই / আর মানুষ যদি ভালো করে দেখে তবুও আকাশের কোন ফাটল সে দেখতে পাবে না / অর্থাত আকাশ একটি শক্ত কঠিন পদার্থ আর আকাশের কোন ফাটল নেই / আর আকাশ তৈরী করা হয়েছে একটার উপর আরেকটা এভাবে সাতটা /

তাহলে আল্লাহর ভাষ্য মতে আকাশ সাতটা এবং আকাশ তৈরী করা হয়েছে শক্ত কঠিন পদার্থ দিয়ে অতি সুনিপুনভাবে / এত ভালো করে তৈরী করা হয়েছে যে এতে কোন ফাটল নেই / আর ফাটল থাকা সম্ভব শুধু শক্ত কঠিন বস্তুর ক্ষেত্রে / অর্থাত আল্লাহর কথা মত আকাশ শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী /

কিন্তু বাস্তব আকাশ সাতটা নয় বরং একটা / অর্থাত আমাদের আকাশ একটা / এবং এটি গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে তৈরী / কোন কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী নয় / এটি তৈরী হয়েছে গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে / আর তাই গ্যাসীয় পদার্থের তৈরী আকাশের কোন ফাটল থাকা সম্ভব নয় /
সুতরাং আল্লাহ বলছেন যে আকাশে ফাটল নেই অর্থাত আকাশ শক্ত কঠিন কোন পদার্থ দিয়ে তৈরী / কিন্তু আল্লাহ জানেন না যে আকাশ কোন শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী নয় বরং এটি গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে তৈরী আর তাই এর কোন ফাটল থাকা সম্ভব নয় /
তাহলে আল্লাহ সবকিছু জানেন না / অর্থাত আল্লাহ সর্বজ্ঞানী নয় / আর যে সর্ব জ্ঞানী নয় সে সৃষ্টিকর্তাও নয় /

একটি শান্তির ধর্মের ইতিকথা



আমরা শুধু সাইন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পড়বো l এবার একটু রিলিজিওন ফিকশন বা ধর্ম কল্পকাহিনী পড়ি l
“”””একটি শান্তির ধর্মের ইতিকথা”””””

ইসলাম আল্লাহর ধর্ম l পৃথিবীতে একমাত্র সত্য ধর্ম l আল্লাহ মুহাম্মদকে নবী নিযুক্ত করেছেন যেন মুহাম্মদ পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষকে শান্তির ধর্ম ইসলামে নিয়ে আসতে পারে l এর ফলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে l ইসলামের পূর্বে আরবে অশান্তি লেগেই ছিল ! মারা-মারি খুন, হত্যা, ধর্ষণ মূর্তি-পূজা আরো হাজারও রকম অন্যায় অবিচার চলতো সেই সময়-এ আরবে l আর সে জন্যই সেই সময়টাকে আয়ামে জাহেলিয়া অর্থাত অন্ধকারের যুগ বলা হয়েছে l সেই সময়ে দাস প্রথা চালু ছিল l সেই অন্ধকার যুগের মানুষ অসহায় মানুষদের জোর করে নিয়ে যেত আর বাজারে পশুর মত বিক্রি করে দিত l অর্থাত গরিব অসহায় মানুষ ছিল গরু ছাগলের মত l আর মানুষ সেই সব মানুষকে কিনে নিয়ে যেত এবং পশুর মত তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতো l মেয়েদের কে কিনে নিতো আরও অন্যন্য খারাপ কাজের দাসী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য l এক কথায় মানুষের কোন মর্যাদাই পেত না সেই সব অসহায় মানুষ গুলো l আর এজন্যই সেই যুগ ছিল অন্ধকারের যুগ l আর সে সময় 'জোর যার জগত তার' এই নীতিতে চলতো পৃথিবী l অর্থাত যে শক্তিশালী এবং ধন ও ক্ষমতাবান সে যা চাইতো তাই করতে পারতো l আক্রমন করে অনেক ক্ষমতা বান অথবা কম ক্ষমতাবান মানুষকে মেরে ফেলতো এবং তার সম্পদ গ্রাস করে নিতো l সম্পদের মধ্যে ধন-সম্পদ, টাকা পয়সা, সোনা দানা, দাসী এমনকি স্ত্রী আত্তীয় সজনকেও জোর করে ধরে নিয়ে যেত এবং দাসী বানিয়ে রাখত l আর মেয়েদের মধ্যে যাকে ভালো লাগত তাকে ধর্ষণ করত l এসব জঘন্য মানবতা বহির্ভূত কাজ কারবার করতো বলেই সে যুগকে অন্ধকারের যুগ বলা হতো l
একদল আরেক দলের উপর আক্রমন করত এবং ধন -দৌলত লুট করত ! আর যুদ্ধ বিদ্রোহ লেগেই থাকত সব সময় l এ ওকে খুন করে, তাকে হত্যা করে এরকম অবস্থা ছিল সেই সময়ে l আর যার সম্পদ বেশি ছিল সে তার ইচ্ছামত যাকে ইচ্ছা তাকে বিয়ে করত , দাসী বানাত l একজন ধনবান ব্যক্তির, তার ধন-সম্পদের পরিমানের উপর নির্ভর করতো তার দাস দাসীর সংখ্যা এমনকি তার বিয়ের সংখ্যাও নির্ভর করত তার ধন-সম্পদের উপর l অর্থাত একজন ধনী ব্যক্তি চাইলে এক হাজারটা বিয়ে করতে পারত তার ধন সম্পত্তির উপর নির্ভর করে !
আয়ামে জাহিলিয়ার যুগের আরেকটা বর্বর কাজ ছিল যে তারা মা-বোন বিচার করতো না l বাগিনি বাতিজি বাচ বিচার করতো না l যাকে মন চাইতো তাকেই বিয়ে করতো এবং অশ্লীলতা শুরু করে দিত l আর এটাই ছিল অন্ধকার যুগের সবচেয়ে অমানবিক আচরণ l তারা বাগনি. বাতিজি, নাতি, পুত্রবধু এমন কি সৎমাকেও বাদ দিত না, বিয়ে করে নিতো l দেখা যেত এক বন্ধু অন্য বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করে নিল এবং অন্য বন্ধুটি ওই বন্ধুটির মেয়েকে বিয়ে করে নিল l তাদের কাছে মেয়ে অথবা মা বোন কোনো ব্যাপার ছিল না l যাকে মন চাইতো তাকেই বিয়ে করে নিতো l আয়িয়ামে জাহেলিয়া যুগের অর্থাত অন্ধকার যুগের মানুষ এরকমই বর্বর ছিল l তারা শিশুকেউ বাদ দিত না l তারা শিশুকে বিয়ে করতো, এমনকি শিশু অবস্থাতেই তাদের সাথে বর্বর আচরণ করত l শিশু বিয়ে এবং তাদের সাথে বর্বরতা করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল l ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে, খালা ফুপু কাউকেই তারা বাদ দিত না বর্বরতা থেকে l এটাই ছিল স্বাভাবিক ঘটনা lএরকম বর্বর ছিল অন্ধকার যুগের মানুষগুলো l
আর এই সকল অন্যায় অবিচার চলতো বলেই সেই যুগকে আইয়িয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকারের যুগ বলা হয়েছে l
আর এইসব অন্যায় অবিচার যুদ্ধ বিগ্রহ এবং অশান্তি চলার সময়টাতে অর্থাত অন্ধকার যুগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীকে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে তার প্রিয় বান্দা মুহাম্মদকে পৃথিবীতে পাঠালেন এবং তাকে দায়িত্ব দিলেন অশান্তির পৃথিবীকে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে l মুহাম্মদ নবী হলেন এবং আল্লাহর বাণী প্রচার করতে লাগলেন l সবাইকে আল্লাহর পথে অর্থাত শান্তির পথে আসতে বললেন l আর আল্লাহর গুন কির্তন করতে বললেন ! বলা বাহুল্য খুব অল্প লোকই শান্তির ধর্ম ইসলামে এসেছিল l তারা অশান্তির ধর্ম; অন্ধকারের ধর্ম ছেড়ে আসতে চাইল না l তারা মুহাম্মদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করলো l একসময় মুহাম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনায় পারি জমালো শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে l সেই অশান্তির ধর্মের মানুষ গুলো মুহাম্মদকে মক্কা ছেড়ে যেতে বাধ্য করলো l
মুহাম্মদ মদিনায় যেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে লাগলো l মদিনার মানুষ দল বেধে শান্তির ধর্মে আসতে লাগলো l তারা আর অশান্তির ধর্মে থাকলো না l
এভাবেই মুহাম্মদ মদিনাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলো l সেখানে (মদিনাতে) মানুষ বর্বরতা ভুলে গেল l কোন মানুষ আর মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় না l মানুষকে বাজারে নিয়ে পশুর মত বিক্রি করে দেয় না l অসহায় নিরীহ মানুষকে আর দাস-দাসী হিসেবে ব্যবহার করে না l যত দাস-দাসী ছিল মদিনাতে সবাইকে মুক্ত করে দেয়া হলো l এবং তাদের সবাইকে স্বাভাবিক মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাচার সুযোগ করে দেয়া হলো l এক কথায় মদিনা থেকে দাস প্রথা পুরো পুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l
আবার মদিনার সবাই তাদের ক্ষমতাবলে একসাথে অনেকগুলো করে বিয়ে করা বন্ধ করে দিল l তারা একটা করে বিয়ে করে l স্বামী শুধু স্ত্রীকে এবং স্ত্রী শুধু স্বামীকে ভালবাসতে লাগলো l তারা স্বামী এবং স্ত্রী অর্থাত ছেলে এবং মেয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করলো l আর তারা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন মনে করলে স্বামী তার স্ত্রীর কাছে অনুমতি চাইতো এবং স্ত্রী অনুমতি না দিলে স্বামী আর দ্বিতীয় বিয়ে করতো না l
আবার সম্পদশালী স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইতো তখন তারা স্বামীর অনুমতি নিতো l যদি স্বামী অনুমতি না দিত তবে সে অর্থাত স্ত্রী আর দ্বিতীয় বিয়ে করতো না l অর্থাত বহু বিয়ের যে নিয়ম ছিল অন্ধকারের যুগের সেটাও আসতে আসতে বিলুপ্ত হয়ে গেল মদিনা থেকে l সেখানে ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l তারা আর ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করলো না l তারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l আর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l
সেখানে কেও কাওকে আক্রমন করে না l কেউ কারো সম্পদ ছিনিয়ে নেয় না l কাওকে ধর্ষণ করে না l সবাই সবার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জীবন যাপন করে l সবাই সবাইকে স্বাধীন ভাবে থাকতে দেয় l কেউ কারো সম্পদ চুরি করে না l ডাকাতি লুন্ঠন সব বন্ধ হয়ে গেল মোদিনা থেকে l খুন হত্যা যুদ্ধ বিগ্রহ সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল মদিনা থেকে l আর মুহাম্মদ আল্লাহর ধর্ম ইসলামের প্রতিষ্ঠার ফলে মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সফল হলো l কেও অন্যায় করে না অর্থাত সবাই ভালো হয়ে গেল এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম কায়েম করার জন্য মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l সেখানে হত্যা জুলুম যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয়ে গেল l আর চারিদিকে মদিনার শান্তি প্রতিষ্ঠার খবর ছড়িয়ে পড়ল l

মদিনার শান্তির কথা শুনে চারদিক থেকে মানুষ দলে দলে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো l মক্কার অনেক লোক যারা শান্তির ধর্মের শান্তির বাণী বিশ্বাস করেছিল তারা এসে শান্তির ধর্ম ইসলামে যুগ দিতে লাগলো l আর এই শান্তির খবর মক্কার অশান্তির ধর্মের ধর্ম গুরুদের কানে গেল l কিন্তু তারা বিশ্বাস করতে চাইল না l তারা মুহাম্মদকে মারার জন্য সৈন্য বাহিনী পাঠালো l সেই সৈন্য বাহিনী মদিনায় গেল এবং মদিনা বাসীর শান্তি ময়তা এবং শত্রুর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল l এবং সৈনিকদের মধ্যে সবাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলো l অর্থাত তারাও শান্তির ধর্ম গ্রহণ করলো l তারপর সেই সৈন্য বাহিনী মক্কায় ফিরে যেয়ে মুহাম্মদের শান্তির ধর্ম ইসলামের গুনগান গাইতে লাগলো l আর মদিনাতে কি রকম শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার বর্ণনা দিল l কিন্তু অশান্তির ধর্মের লোকগুলো তাদের কথাও বিশ্বাস করতে পারল না l তাই তারা বিশ্বস্ত লোক পাঠালো শান্তির ধর্মের খোজ খবর নেবার জন্য l এবার যে দলটা গেল তারাও মদিনার শান্তি দেখে এবং আল্লাহর শান্তির বাণী শুনে ইসলাম গ্রহণ করলো এবং মক্কায় ফিরে যেয়ে শান্তির বাণী বলতে লাগলো অশান্তির ধর্মগুরুদের কাছে l তারা অর্থাত অশান্তির ধর্মগুরুরা শান্তির ধর্মের প্রতি আগ্রহ দেখালো এবং মুহাম্মদ কে মক্কায় আসার আহবান করলো এবং তাদের সাথে পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপনের আহবান জানালো l শান্তির পুজারী মুহাম্মদ সেই বাণী অগ্রায্য করতে পারল না l তাই তার অনুসারীদেরকে অর্থাত শান্তি বাহিনীকে নিয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করলো l সে তার শান্তির বাণী (আল্লাহ প্রদত্ত) শুনাতে লাগলো সেই অশান্তির ধর্মের ধর্মগুরুদের l
মুহাম্মদের মুখে আল্লাহর শান্তির বাণী শুনে এবং মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা শুনে তারা ইসলাম গ্রহণ করে ফেলল l এবং মক্কার সব মানুষকে ইসলামের শান্তির বর্ণনা করলো এবং সবাই ইসলাম অর্থাত শান্তির ধর্মে প্রবেশ করলো l তারপর থেকে মক্কায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হলো মদিনার মতই l মক্কাতেও খুন হত্যা জ্বুলুম ধর্ষণ , দাস দাসী কেনা বেচা এবং বহুবিবাহ সহ যাবতীয় অন্ধকার যুগের অশান্তির এবং অমানবিক কাজ কারবার বন্ধ করে দিল l আর এর ফলে মক্কাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l সমগ্র আরববাসী ইসলাম অর্থাত শান্তির ধর্ম গ্রহণ করলো l এবং আরবে আর কোন অন্যায় অর্থাত খুন ধর্ষণ; দাস প্রথা ; বহু বিবাহ ; যুদ্ধ-বিগ্রহ সব বন্ধ হয়ে গেল l সেখানে ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l তারা আর ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করলো না l তারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেলl এবং প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলো l

এদিকে আরবে শান্তির প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর সত্য নবী মুহাম্মদের মহিমার কথা সমস্ত আরব দেশগুলুতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো l তারাও দলে দলে এসে ইসলাম এবং মুহাম্মদের নিকট ইমান আনলো l এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম আরব ছাড়িয়ে অন্যন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো l সব দেশ তখন মুহাম্মদ এবং আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করতে লাগলো l শান্তির ধর্ম ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম আর তাইতো এই শান্তির ধর্মের জন্য সমগ্র আরব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্ধকার যুগের সমগ্র অন্যায় অবিচার অর্থাত খুনাখুনি; ধর্ষণ, মানুষ কেনাবেচা অর্থাত দাস প্রথা; ভাতিজি, ভাগ্নি, পুত্রবধু , বন্ধুর মেয়ে এবং শিশু বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বর্বরতা করার যে নিয়মটা ছিল সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেল l ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে মানুষ সভ্য হয়ে গেল lতারা ভাতিজি ভাগ্নি কে এবং বন্ধুর মেয়েকে মা বলে সম্মুধন করা শুরু করে দিল l আর পিতৃ স্নেহের গন্ডি বাড়তে থাকলো l আর এভাবেই ইসলামের শান্তির গুনে মানুষ সভ্য হয়ে গেল l এবং বহুবিবাহ সহ যাবতীয় অমানবিক কাজ-কারবার বন্ধ হয়ে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে লাগলো l

ঠিক সেই সময়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল l মুহাম্মদের একমাত্র ভালবাসার মানুষটি অর্থাত তার স্ত্রী খাদিজা মারা গেল l সেই ২৫ বছর বয়সে সে ধনী মহিলা ৪০ বছরের খাদিজাকে সে বিয়ে করেছিল l তার পর থেকে সে খাদিজাকে ভালোবেসেছে l স্ত্রী হিসেবে তার সব দু:খে পাশে থেকেছে, তাকে সান্তনা দিয়েছে ; স্ত্রী হিসেবে তাকে শ্রদ্ধা করেছে l খাদিজা তাকে খুব ভালবাসা দিয়ে পাশে থেকেছে l তার সাথে ইসলাম প্রচার করেছে l আর সেই খাদিজা মারা যাওয়াতে সে খুব ব্যথিত হয়ে গেল l বাকি জীবন সে খাদিজাকেই মনে মনে ভালোবেসে গেল l বাকি জীবনে আর বিয়ে করলো না একটাও l
আর ইসলামের মহত্তে সম্পূর্ণ আরব বিশ্ব ইসলামের শান্তির ছায়া তলে এসে গেল l কোন দেশ কোন দেশকে আক্রমন করে না l কোন দেশ কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করে না l প্রকৃত পক্ষে ইসলাম আসার পর থেকে আরব বিশ্বে একটাও যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি এবং কোন মুসলমান কাউকেই হত্যা করেনি মুসলমান হবার পর থেকে l ইসলাম এবং মুহাম্মদ মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছে সবসময় l আর তাই শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে সম্পূর্ণ আরব বিশ্ব থেকেই যুদ্ধ, হত্যা, খুন, জুলুম, ধর্ষণ, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ, ভাতিজি ভাগ্নি, বন্ধুর মেয়ে বিবাহ প্রভৃতি বিলুপ্ত হয়ে এক সভ্য শান্তির আরব বিশ্ব গঠিত হলো l আর এর নেতৃত্ব দিল মুহাম্মদ নিজে l
এভাবেই মুহাম্মদ ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর পথে এবং শান্তির পথে আনলো আর মানুষের মাঝে এক আদর্শ মানুষ হিসেবে তার কীর্তি রেখে গেল l আরবের প্রিয় মানুষ আল্লাহর নবী, শান্তির প্রতিকৃত মুহাম্মদ মারা গেল l
সে তার পরে কে ইসলামের দিক নির্দেশনা দেবে সেটা ঠিক করে রেখে গেল l আবু বক্কর মুহাম্মদের ঘনিষ্ট বন্ধু আবু বক্করকে ইসলামের নেতা নিযুক্ত করে গেছে মুহাম্মদ l ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে আবু বক্করকে নিযুক্ত করে গেছে সে l আর আবু বক্কর কে সবাই তারপর থেকে নেতা বা খলিফা হিসেবে মেনে নিল l
আবু বক্কর ইসলামের শান্তি আরব ছাড়িয়ে আফ্রিকা এবং ইউরুপের দিকে ছড়িয়ে দিতে থাকে l আবু বক্কর তারপর উমর তারপর উসমান তারপর আলী পরপর খলিফা হিসেবে ইসলামের নেতৃত্ব দেয় l এবং ইসলামের শান্তি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে l এবং পৃথিবী থেকে অশান্তি, অন্যায়, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, যুদ্ধ, দাস প্রথা, শিশুকাম, বহুবিবাহ ইত্যাদি বিলুপ্ত হয়ে যায় ইসলামের খেলাফতের মাধ্যমে l

আজ পর্যন্ত উসমান-আলীর পর থেকে বহু খলিফা নিযুক্ত হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত খেলাফত টিকে আছে l সব সময়ে সব খলিফাকে সব মুসলমান যুগে যুগে মেনে নিয়েছে এবং আল্লাহর এবং তার খলিফাবৃন্দের আদেশ মেনে চলেছে l পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত শান্তির ইসলাম কায়েম আছে এবং ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকে পৃথিবীতে কোন যুদ্ধ, হত্যা, জুলুম, দাস প্রথা, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এবং আয়ামে জাহিলিয়ার কোন বর্বরতা আর দ্বিতীয়বার হয় নি l তাই ইসলাম আল্লাহর একমাত্র সত্যি ধর্ম এবং মুহাম্মদ আল্লাহর শেষ এবং প্রিয় নবী l মুহাম্মদ এবং ইসলামের মহানভবতায় পৃথিবী থেকে আয়ামে জাহেলিয়ার বা অন্ধকার যুগের বর্বরতা খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, যুদ্ধ, দাস প্রথা সব কিছু থেকেই মানব জাতি মুক্ত হয়েছে l
আর তাই ইসলাম আল্লাহর ধর্ম, মুহাম্মদ আল্লাহর সত্য নবী, শান্তির ধর্ম ইসলাম এতে কোন ভুল নেই l
ইসলাম আসার পর থেকেই আয়ামে জাহিলিয়া বা অন্ধকার যুগের সব অন্যায় বর্বরতা যেমন হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দাস প্রথা, বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এমনকি বাগনি-বাতিজি-পুত্রবধু-বন্ধুর মেয়ে বিবাহ ইত্যাদি জঘন্য বর্বর কাজ পৃথিবী থেকে দূর হয়েছে l আর মুহাম্মদ এসব জঘন্য কাজ করা থেকে তার নবুয়ত প্রাপ্তির পর থেকে সবাইকে নিষেধ করেছেন এবং নিজেও অন্ধকার যুগের কোন বর্বর কাজ করেননি l আর তাই সে আজ সব মুসলমানদের তথা সমগ্র পৃথিবীর আদর্শ মানব l মুহাম্মদ এবং তার ইসলাম আসার পর থেকেই অন্ধকার যুগের কোন কাজ এক মুহুর্তের জন্যও সংগঠিত হয়নি l আর তাই ইসলাম শান্তির ধর্ম l ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম l মুহাম্মদ আল্লাহর মনোনীত শেষ নবী l মানব জাতির আদর্শ l

বি.দ্র.: এই লেখার সমস্ত ঘটনা, স্থান, নাম, আবহ কাল্পনিক l কারো সাথে মিলে গেলে সেটা কাকতালীয় ব্যাপার মাত্র l এর জন্য লেখক দায়ী থাকবে না l